প্রকাশিত: Sat, May 11, 2024 1:51 PM
আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 12:23 PM

বাঙালি হৃদয়কে বড় করে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ

জাহিদ হোসেন : কিছুদিন আগে যক্ষ্মায় মারা গেছে রবীন্দ্রনাথের বড় মেয়ে মাধুরীলতা। এই সময়ে কিশোরী রানু তাঁকে চিঠি লিখলো, ‘আপনাকে দেখতে আমার খু-উ-উ-উ-উ-উ-উ-ব ইচ্ছে করে।’ সন্তানশোকে বিমর্ষ রবীন্দ্রনাথ স্নেহে-প্রেমে আঁকড়ে ধরলেন রানুকে। তাঁদের সেই বিধি-ভাঙা অন্যরকম সম্পর্ক এগিয়ে চললো তথাকথিত সামাজিকতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে। রবীন্দ্রনাথের বয়স তখন ৫৮, রানুর ১৪ আর এই অসমবয়সী প্রেম-কাহিনি যখন পড়ি তখন আমার বয়স ১৮ বছর। বাঙালির ঔচিত্যবোধের মান তৈরি করা নোবেলজয়ী বিশাল এই মানুষটার  এমন ‘পদস্খলন’ আমাকে সেই বয়সে বিরক্ত করেছিল। ভেবেছিলাম, ‘মেয়েটি না হয় আবেগী, অবুঝ, কিন্তু আপনি তো বুঝদার ছিলেন, কেন সাড়া দিলেন? কেন আপনার বিরুদ্ধে প্ররোচনার দায় আনা যাবে না? রণে প্রণয়ে সব চলে এই যুক্তি কি আপনার বেলায়ও মানতে হবে? 

এখন আমার বয়স ৫৮, এখন আর আমি রবীন্দ্রনাথকে অভিযুক্ত করি না। এখন আমি জানি, ‘আসলে কেউ বড় হয় না, বড়র মতো দেখায়। রবীন্দ্রনাথ শিখিয়েছেন, আঘাত অনিবার্য তথাপি জগৎ আনন্দময়। যাহা কিছু হেরি চোখে কিছু তুচ্ছ নয়। 

দিনের শেষে, ভালোবেসে, নিজেকে শূন্য করে বিলিয়ে দিলেই কেবল জীবনের ঋণ শোধ করা যায়। বাঙালি হৃদয়কে বড় করে দিয়েছেন তিনি। এই যে আমি আজ ফুলের ঘ্রাণে বিভোর হই, ভালোবেসে কাতর হই, সেও রবীন্দ্রনাথকে পাঠ করার কারণেই। এবার এই ঘরটির কথা বলি। এই ঘরের কোনো জানালা নেই, যা আছে সবগুলোই দরজা। মোটমাট সংখ্যা দশ। ঘরটির বিশেষত্ব হচ্ছে নিজের থেকে দুই বছরের ছোট দেবরের বিয়ের পরপর ঘরের মালিক আত্মহত্যা করায় বাংলা সাহিত্যে এক বিরাট রহস্য তৈরি হয়ে গেছে। সেই রহস্য নিয়ে আজও কিছু মানুষ করে খাচ্ছে। ফেসবুক থেকে